যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্রতিবেশী কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশ করে নেওয়ার ‘ধারণাটি দারুণ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কেউ উত্তর দিতে পারে না কেন আমরা কানাডাকে বছরে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি ভর্তুকি দেই? অনেক কানাডিয়ান চান কানাডা (যুক্তরাষ্ট্রের) ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক। এটি কর ও সামরিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক খরচ বাঁচাবে। আমি মনে করি এটি একটি দারুণ ধারণা। ৫১তম অঙ্গরাজ্য!”যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদপত্র পলিটিকো লিখেছে, সম্প্রতি কানাডা ও জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে ট্রাম্পের খোচা দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর আগে কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করার পর সোমবারও তিনি এমনটি করেছেন।
ওই দিন তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করায় মহান অঙ্গরাজ্য কানাডা হতবাক হয়ে গেছে, অথবা গভর্নর জাস্টিন ট্রুডো তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন। তার (ফ্রিল্যান্ডের) আচরণ পুরোপুরি বিষাক্ত ছিল এবং তা অত্যন্ত অসুখী কানাডার নাগরিকদের জন্য ভালো চুক্তি করার পক্ষে মোটেই সহায়ক ছিল না। তার অভাব কেউ বোধ করবে না!”ট্রাম্প কানাডীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাশং শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশটির সরকার বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে। এই নিয়ে দুই প্রতিবেশীর ভেতর দেখা দেওয়া উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্প এসব উপহাসমূলক পোস্ট করলেন।
নভেম্বরের শেষ দিকে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো অবকাশযাপন কেন্দ্রে ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করার পর থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘মহান অঙ্গরাজ্য কানাডার গভর্নর’ ডাকা শুরু করেছেন ট্রাম্প।ওই সময় তিনি এক পোস্টে লিখেছিলেন, “মহান অঙ্গরাজ্য কানাডার গভর্নর জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আরেকটি রাতে ডিনার করাটা আনন্দের ছিল। আমরা শুল্ক ও বাণিজ্য নিয়ে আমাদের গভীর আলোচনা যেন অব্যাহত রাখতে পারি তার জন্য গভর্নরের সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় আছি আমি, এগুলোর ফলাফল সবার জন্যই সত্যই আকর্ষণীয় হবে!